1. admin@dailydhakarcrime.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন কেন্দ্রীয় কমিটি কে পঞ্চম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সংবর্ধিত, শরণখোলায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মানববন্ধন ধামইরহাটে শুভ বড়দিন উপলক্ষে ৬৯টি গীর্জায় জিআর চালের ডিও বিতরণ সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীদের ১০ শতাংশ অগ্রাধিকারের দাবিতে মানববন্ধন টঙ্গীর ময়দানে তাবলিগের দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ১০০ জনের বেশি দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় পূবাইলে দোকান ভাঙচুরসহ গরু নেয়ার পূবাইল থানায় অভিযোগ সাতক্ষীরায় শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার বৃহত্তর দক্ষিণ অঞ্চলীয় সমিতি গাজীপুর এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও পরিচিতি সভা। টঙ্গীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটেছে।

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
  • ১৩১ বার দেখা হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন বিভাগের তিন জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাবির চারুকলার এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ শেখ বন্ধন এবং গ্রাফিক ডিজাইন ও কারুশিল্প বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান পুলক ও পেন্টিং ওরিয়েন্টাল আর্ট ও প্রিন্টমেকিং বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অপু।

জানা গেছে, বন্ধন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। অন্যদিকে পুলক বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চারুকলা অনুষদ চত্ত্বরের মুক্ত মঞ্চের পিছনে সৌরভ শেখ বন্ধন বান্ধবীসহ গাঁজা সেবন করছিলো। অপু ও পুলক বন্ধনকে গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি লাগলে মেহেদী হাসান পুলক সৌরভ শেখ বন্ধনের মাথায় হেলমেট দিয়ে আঘাত করলে বন্ধনের মাথা হালকা কেটে রক্তপাত হয়।পরবর্তীতে সৌরভ শেখ বন্ধন আহত অবস্থায় তার বন্ধুদের ফোনে জানালে ১০/১৫ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপু ও পুলককে মারধর করে আহত করে এবং চারুকলা চত্ত্বেরর রফিকের দোকান ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় মেহেদী হাসান পুলক বলেন, তারা চারুকলার মুক্তমঞ্চের পিছনে বসে গাঁজা সেবন করছিলো। আমি এবং অপু ভাই তাদেরকে মানা করলে  একটা সময় তারা আমার সাথে ধাক্কাধাক্কি করে। এক পর্যায়ে ওরা আমকে মারধর করা শুরু করে। এক পর্যায়ে মারামারি করতে করতে আমরা পাশের রফিক ভাইয়ের দোকানে চলে যাই। পরে আমি সবাইকে ফোন দিয়ে আসতে বলি। রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব ভাইকেও আসতে বলি। এদিকে বন্ধনরা বাঁশ, লাঠি হাতে প্রায় ৪০/৫০ জন জড়ো হয়ে রফিক ভাইয়ের দোকানে এসে আমাকে মারধর শুরু করে। অপু ভাইকেও মারধর করে। অপু ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি তাদেরকে এভাবেও বলি যে গালিব ভাইরা আসছেন,  তারা আসলে কথা বলি কিন্তু তারা শুনেনি, তারা মারধর করতে থাকে। তারপর চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে এসেও নামতে পারছিলাম না। তারপরে ভাইরা আসলো পরে চিকিৎসা নেই।

অন্যদিকে বন্ধন গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চারুকলায় অবস্থানকালে হঠাৎ ক্যাম্পাসের কয়েকজন আমার কাছে জানতে চায় তোরা কারা? কি করতে এসেছিস এখানে? আমরা নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পর তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। তারপর সেখানে অপু ভাই এবং পুলক ভাই উপস্থিত হয়। তখন তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আমার কাপড় ধরে টানাটানি করে এবং চর থাপ্পর দেয়৷ তখন আমার জামা ছিঁড়ে যায়। তখন তাদের মধ্যে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়।

এদিকে দোকানদার রফিক বলেন, বন্ধনরা আমার দোকান ভাঙচুর করে এবং ৫-৬ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, কী নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত তার সঠিক খবর জানিনা কিন্তু এখানে এসে জানতে পারি গাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। যারা মার খেয়েছে তারাও আমাদের ছাত্র আবার যারা মারছে তারাও বলতেছে তারা ছাত্র কিন্তু আমরা জানিনা তারা কারা। যেহেতু ঘটনাটি চারুকলা অনুষদের ভিতরে ঘটেছে তাই আমি তাদের বলেছি ডীন বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখতে তারপর ডীন তা তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবে। তারপর আমরাও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি এবং আরও কয়েকজন অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনার কথা শুনে এখানে আসার পর শুনি বহিরাগতরা(ওরা কারা কোন ডিপার্টমেন্ট আমি জানিনা) বসে গাজা খাচ্ছিলো। আমাদের কিছু ছাত্র এখানে বসা ছিল তারা গাজা খেতে নিষেধ করাতে এখানে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 ঢাকার ক্রাইম
প্রযুক্তি সহায়তায় মাহোস্ট আইটি