নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ মাহবুব আলম বর্তমানে বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক কর্মরত আছেন। বিআরটিএ বরিশাল শাখায় ২০১২ যোগদানের পর ১২ বছরে তিনি সাতক্ষীরা, খাগড়াছড়ি, কেরানীগঞ্জ, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে কর্মজীবন পার করে। তিনি নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক হিসেবে গত সাত মাস আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মোঃ ইদ্রিস নামের এক ব্যাক্তি মাহাবুব আলমের নামে দুদকে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন মোঃ মাহবুব আলম তার শিক্ষাগত সনদ এবং জন্ম সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরিপ্রাপ্ত হন। মাহাবুব আলমের এনআইডি নং ১৯৮৩৭৯১৮০৩৪২৭৪৯৮৪ মোতাবেক তার নাম মাহাবুবুর রহমান এবং তার জন্মতারিখ ২০/০২/১৯৮৩। কিন্তু তার দাখিলকৃত এসএসসির সার্টিফিকেটে তার নাম মোঃ মাহবুব আলম এবং জন্মতারিখ ২রা নভেম্বর ১৯৭৬। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন জাল সনদে চাকরি পাওয়া মোঃ মাহবুব আলম একজন ঘুষখোর অসৎ প্রকৃতির লোক।
অভিযোগ পত্র মোতাবেক, এই ১২ বছরের চাকরি জীবনে বাবা, ২ ভাই , ২ বোন এবং স্ত্রীর নামের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি ফ্ল্যাট, বসুন্ধরায় ৫ কাঠার প্লট (পাঁচতলা দালানের কাজ নির্মাণাধীন)। এছাড়া পিরোজপুর থানার অন্তর্গত শ্রীরাম কাঠি, জয়পুরা, কাঁঠাল তলা সহ বিভিন্ন জায়গায় তার সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি করেন অভিযোগকারী।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুদৃষ্টি আকর্ষণ সহ দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিক তদন্ত মাধ্যমে ও নতুন বাংলাদেশের ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সকল কথা মিথ্যা ও বানোয়াট।