সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নিয়োগ পরীক্ষার পর প্রার্থীদের কাছে নম্বরপত্র হস্তান্তর
মিহিরুজ্জামান সাতক্ষীরাঃ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ মানেই বিতর্ক। যোগ্য অযোগ্য যে-ই নিয়োগে জন্য বিবেচিত হবেন-তাকে নিয়ে বিতর্ক চলবেই। সর্বত্রই অভিযোগ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষের পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করেন। তবে প্রচলিত ধারার বাইরে যেয়ে এবার দেখা মিললো ব্যতিক্রমী উদ্যোগের। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে বসে তৈরী করলেন প্রশ্নপত্র। এক পর্যায়ে উত্তরপত্র মুল্যায়নের পর মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করেই নির্ধারিত হলো নিয়োগের জন্য উত্তীর্ন প্রার্থী।
ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। এ দিন উপজেলার চালিতাঘাটা সিদ্দিকিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন হয় উপজেলা পরিষদে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.রনী খাতুন গ্রহণ করেন এমন উদ্যোগ।
জানা যায়, উক্ত মাদ্রাসার সুপার পদে নিয়োগের জন্য মোট ছয়জন প্রার্থী আবেদন করেন। অসুস্থতার কারনে একজনের অনুপস্থিতিতে নির্ধারিত দিনে পরীক্ষায় অংশ নেয় চার প্রতিযোগী। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে (৩০+২০) ৩৩.৫০ নম্বর পেয়ে সুপার পদের জন্য বিবেচিত হন উপজেলার খাগড়াঘাটার মো. আব্দুর রহিম।
অংশ গ্রহনকারী প্রার্থী সহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার ফল ঘোষনার পর সব প্রার্থীর নিকট তাদের প্রাপ্ত নম্বর পত্র হস্তান্তর করা হয়। এমনকি পূর্ব হতে কোন তথ্য না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন দুর্বলতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান।
কতৃপক্ষের তরফে আরও জানা যায়, নিয়োগ বোর্ডে অন্যান্যের মধ্যে ডিজির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সহ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যোৎসাহী সদস্য এবং ভারপ্রাপ্ত সুপার জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। স্বচ্ছ প্রকিয়ায় নিয়েঅগ পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ প্রার্থীরাও নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান।