টঙ্গীতে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
টঙ্গীতে সেলিম মিয়া (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আলী আকবর রনি (৪০) কে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে টঙ্গীর হিমারদীঘি ( আমতলী কেরানীর টেক বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী আলী আকবর রনি টঙ্গীর হিমারদীঘি আমতলী কেরানীরটেক বস্তির মৃত বাবুল খাঁ এর ছেলে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে সেলিম মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গত ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কেরানিরটেক বস্তি এলাকার বাসা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে
টঙ্গীর কেরানিটেক জনৈকা আকলির ঘরের সামনে ফাঁকা জায়গায় উপর্যুপুরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ সকালে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান করে আকাশ ও রাহুল নামে উক্ত মামলার এজহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলী আকবর রনি ও অন্যান্য আসামীরা পলাতক থাকে। পরবর্তিতে, টঙ্গী পূর্ব থানার চৌকস পুলিশ অফিসার মামলার (তদন্তকারী কর্মকর্তা) এস আই সাফায়াত ও অন্যান্য সোর্স নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার টঙ্গী হিমারদীঘি আমতলী কেরানীরটেক বস্তির এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার (তদন্তকারী কর্মকর্তা) এস আই সাফায়াত জানান, সেলিম মিয়া হত্যার ঘটনার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চালায়।
এরই প্রেক্ষিতে টঙ্গী কেরানীরটেক বস্তি এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী আলী আকবর রনিকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রায় দুই মাসের অধিক সময় আত্মগোপনে থাকা রনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার বাসীর মনে স্বস্তি ও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। নিহতের বাবা বিল্লাল মিয়া এবং তার স্বজনেরা আসামীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড কার্যকারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কুখ্যাত সন্ত্রাসী রনি যাতে আইনের কোন ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে আর কোন মায়ের বুক খালি করতে না পারে সেজন্য জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।