নারী লোভী প্রতারক মোস্তাকিম কোন অপরাধ ছাড়াই তালাক দিলেন স্ত্রীকে।
এসএম নুর ইসলামঃ
বিনা অপরাধে নিষ্পাপ স্ত্রীকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে ডিভোর্স দিলেন নারী লোভী প্রবাসী মোস্তাকিম , বিচারের দাবি অসহায় পরিবারের। ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে গত ৪ জুন ২০২২ ইং তারিখে পারিপারিক ভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক খুলনা শহরের পশ্চিম টুটপাড়া মওলার মোড় এলাকার মোঃ আমান উল্লাহর মেয়ে মুবাশশিরা বিনতে আমানের সাথে ওমানে প্রবাসী বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার উঃ ফুলহাতা গ্রামের মোঃ ইসমাইল ফকিরের বড় ছেলে মোঃ মোস্তাকিম বিল্লার সাথে একলক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এসময় মোস্তাকিমের আগের ২ টি বিয়ে ছিল সেকথা গোপন রেখেছিল। এরপর আড়াই মাস দেশে থেকে সংসার করার এক পর্যায়ে জমি কেনার কথা বলে শশুরবাড়ী থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ধারনিয়ে এবং নিজে কিছু টাকা দিয়ে মোস্তাকিম ৭ কাঠা জমি খুলনার বটিয়াঘাটার চক্রাখালি এলাকায় বিলের ভিতর ক্রয় করে। নারী পাচারকারি ও নারীলোভী
মোস্তাকিম বিল্লাহ ওরপে মিলন হাফেজ মাও. পরিচয়দানকারি বেশ কয়েক বছর ওমানে বসবাস করে বাংলাদেশে অন্তত ৪টি বিয়ে করে ইতিমধ্যে তিনজনকে তালাক দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিয়েতে তার পিতা-মাতা, নোনদ ও নোনদাই সবাই সরাসরি জড়িত। সম্প্রতি মোস্তাকিম বিল্লাহ তার ৩য় স্ত্রী মুবাশশিরা বিনতে আমানকে তালাক নামা পাঠালে মোবাশশিরা স্বামী মোস্তাকিমসহ শশুর ইসমাইল ফকির ও শাশুড়ি ছালেহা বেগম, নোনদ ডলি ও তার স্বামী নুরুন্নবী সোবহানের নামে
সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিজ্ঞ আমলী (০৪) আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা করে। যার মামলা নং সি.আর ২২৩/২৩। এই মামলায় ২ ও ৫ নং আসামী হাজিরা দিলেও মোস্তাকিম বিল্লাহ ওরপে মিলন বিদেশে (ওমানে) পলাতক রয়েছে। সে কোর্টে হাজিরা না দেওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কোর্ট। ( Mohammad Mustakim Billah. পাসপোর্ট নং BR 0380172) সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে আগামী ৪/৫ নভেম্বর সে বাংলাদেশে বাড়ীতে আসতে পারে বলে ৩য় স্ত্রী মোবাশশিরা এবং তার পরিবার এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে মোস্তাকিম বিল্লা ও তার ছোট ভাই মিরাজের মূল টার্গেট হলো এ দেশ থেকে সুন্দরী এবং অভাবগ্রস্থ্য মেয়েদের সোনাদানা, অর্থ ও বিদেশে নিয়ে রাজরানী করে রাখার প্রলোভন দেখিয়ে সর্ব প্রথম পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। এরপর ২/৪ মাস সংসার করে ওমানে নেওয়ার জোর চেস্টা চালায় এবং বিভিন্ন ওজুহাতে টাকা দাবি করে। তারপর মেয়ের পরিবার টাকা দিতে অপারগতা ও মেয়েকে ওমানে না পাঠাতে চাইলেই রাগ হয়ে মোস্তাকিম ওমানে চলে যায় এবং সেখান থেকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে এপর্যন্ত তিনজন মেয়ের জীবন সর্বনাশ করেছে বলে তার আত্মীয় স্বজন অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে মোস্তাকিম বিল্লাহ মিলন আরও একটি বিয়ে (৪র্থ) করেছেন বলে ওর একাধিক আত্মীয়রা নিশ্চিত করেছেন। এবিষয়ে মোস্তাকিমের ঘনিস্ট আত্মীয় বলেন মিলন ও তার ছোট ভাই ওমানে থাকে তারা মূলত বিভিন্ন বাড়ী, হোটেলে নারী সাপ্লাইকারী। তারা দুইভাই গাড়ীর মেকানিকের কাজের পাশাপাশি ওমানে গোপনে লাইসেন্স বিহিন মদ ও নারী সাপ্লায়ের কাজ করে লাখোপতি বলে গেছে। তারা শুধু ওমানে না বিগত দিনে বাংলাদেশের ঢাকা ও বাগেরহাটে নারীর ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। তারা দেশ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেক লোকজন বিদেশে নিয়ে অত্যাচার নির্যাতনসহ পথের ফকির করে দিয়েছে। এ ব্যপারে তালাকপ্রাপ্ত অসহায় স্ত্রী মোবাশশির বিনতে আমানসহ তার পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও প্রতারক মোস্তাকিমকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।