কক্সবাজার টেকনাফ, সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবনিয়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামান এর ছেলে মাদক কারবারি নুরুল হাকিম ও নুরুল আমিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বারটি বছর ছদ্মবেশে রয়েছে। ২১ অক্টোবর ২০১১ সালে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হতে বাস যুগে কক্সবাজার যাওয়ার পথে বড়ইতুলি পুলিশের অস্থায়ী একটি চেকপোস্টে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের হাতে আটক হয়।
টেকনাফ থানার এস আই বিল্লাল বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠান তাদের । যার টেকনাফ থানার মামলা নং ৫৬/৪৬৯ ও জজকোর্ট ঝঞ— ৭৭/০২।
তবে দুই নাম্বার আসামি নুরুল আমিন সঠিক নাম ঠিকানা দিলেও মূল ১নং আসামি নুরুল হাকিম, পরিচয় লুকিয়েছেন কৌশলে। যেখান তার নাম দিয়েছেন একরামুল হক পিতা আমিনুল হক ঠিকানা নয়াপাড়া । এই ভুল নামের কারণে প্রশাসন মূল আসামিকে খোঁজে পাচ্ছেন না ১২ টি বছর। এই ধরনের মামলা তাদের রয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায়। বর্তমানেও নুরুল আমিনের ডজনখানেক মাদক মামলা ও মানব পাচার মামলা রয়েছে।
কে এই নুরুল হাকিম ও নুরুল আমিন? তাদের বাবা নুরুজ্জামান একজন রোহিঙ্গা,তারা যাদের বিয়ে করেছেন তারাও রোহিঙ্গা, যার কারণে মায়ানমারে তাদের রয়েছে ব্যপক আত্মীয় স্বজন। সেই সুবাদে ২০০৬ সাল হতে তাদের মাদক করাবারের সুযোগ হয়ে ওঠে। তখন ইয়াবা নামক মাদকের ছিল অনেক চাহিদা সেই সময় অনেকেই এই ইয়াবা ট্যাবলেট কি চিনতও না । তখনকার সময়ে সারাদেশে ইয়াবা পাচার করে মোটা অংকের টাকা কামিয়েছেন তারা।
নানান কৌশলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচার কালে অনেকবার আটক হয়েছে এই কারবারিরা। নাম ঠিকানা ভুল দিয়ে কিছুদিন জেল কেটে বাহির হতে পারলে সেই মামলার বিষয়ে আদালতের কাছে মুখ দেখাতে হতো না তাদের। ২০১৩ সাল থেকে আজঅব্দি মালেশিয়ায় অবৈধভাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ পাচার করেছেন নুরুল আমিন ও নুরুল হাকিম। কারণ মালেশিয়ার সবচেয়ে বড় দালাল ছিলেন তার চাচা। পরে সেই অবৈধভাবে সমুদ্র পথে তার ভাই মুহাম্মদ আমিনকে মালেশিয়া পাঠাই বাংলাদেশ থেকে পাঠানো মানুষ যাত্রীদের রিসিভ করতে।
কিভাবে এতো অপকর্মের পরেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় প্রশাসনের কাছে সচেতন ব্যক্তিদের প্রশ্ন? এই মরণ নেশা ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ।