নাবিন আহমেদ:
বাকেরগঞ্জ উপজেলা উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গরু চোর মামলা বাজ আওয়ামিলীগ সহ সভাপতি মজনু হাওলাদার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার।
আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন বাকেরগঞ্জ উপজেলা উপজেলা সহ বরিশাল বিভাগের গরু চুরির মূল হোতা এই মজনু হাওলাদার । এলাকার নিরিহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা । পালিয়ে যাওয়া হাসিনা সরকারের পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে দিয়েছেন হাজারো মিথ্যা মামলা।
মজার বিষয় হচ্ছে এই মজনু হাওলাদারের পরিবার খুব চালাক প্রকৃতির মজনু হাওলাদার যেমন আওয়ামিলীগের দোসর ছিল, ঠিক তেমনই তার ভাই মাসুদ হাওলাদারকে দিয়ে করাতেন বিএনপি। এলাকায় বলে বেড়াতেন যে বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও আমাদের পরিবারের ক্ষমতা একটুও কমবে না । কারণ আমি ইতিমধ্যেই কামাই করেছি কোটি কোটি টাকা সেই টাকা দিয়ে আমার ছোট ভাই ব্রিক ফিল্ডের মালিক মাসুদ হাওলাদারকে লালন পালন করছি বিএনপি নেতা হিসেবে।
যার কারণে বাকেরগঞ্জ উপজেলা উপজেলার বেশির ভাগ নেতা কর্মী পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ালেও একদিনের জন্যেও পালায় নি অথবা একটিও মামলাও খাইনি আওয়ামি লীগ নেতা মজনু হাওলাদার ও ছোট ভাই মাসুদ হাওলাদার। গরু চোর মজনু হাওলাদারের বিরুদ্ধে রয়েছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা থানায় একাধিক মামলা। একাধিক মামলা থাকলেও খালাস পেয়ে যেতেন এই মজনু হাওলাদার ।
হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরেও এলাকার মানুষ এখনো ভয়ে আছেন । এলাকার ভালো মনের মানুষ চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্নার নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছেন এই মজনু হাওলাদার । এরকম শত শত নিরিহ মানুষকে মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন এই মজনু হাওলাদার । এর মধ্যে দুলাল গাজী, সালাম মিরা, আতিক, মারুফ ।
আওয়ামিলীগ নেতার অত্যাচারে এলাকার বিধবা মহিলারা থাকতেন আতঙ্কে । কারণ অবৈধ টাকার জোরে বিধবা মহিলা এবং যাদের স্বামী বিদেশে চাকরি করেন তাদের টার্গেট করতেন মজনু হাওলাদার । নাম প্রকাশ্যে অনি্চ্ছুক একাধিক মহিলারা অভিযোগ করে বলেন মজনু হাওলাদরের কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাদের উপর অনেক ঝড় বয়ে গেছে।
হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে গা ঢাকা দিয়েছিল মজনু হাওলাদার। অবশেষে আজ সকাল ৭ টার সময় ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করতে সক্ষম হয় ।
এ বিষয় বাকেরগঞ্জ উপজেলা থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মজনু হাওলাদারকে আটক করা হয়েছে । সূত্রে জানা গেছে মজনু হাওলাদারকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তার ভাই কথিত বিএনপির নেতা মাসুদ হাওলাদার কারি কারি টাকা বিলাচ্ছে। পুলিশকে কিনে নিয়ে ভাইকে ছাড়িয়ে নেয়া অথবা ছোট মামলা দিয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন মাসুদ।