*দুর্নীাতি মামলায় খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর*
হাবিবা আক্তার ঃ
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বিশেষ জজ আদালতের দেয়া আট বছরের কারাদ- বাতিল করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ রায় দেন। আদালতে বাবরের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
এরআগে ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদ- দেয় ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেয়।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের সশ্রম কারাদ- ও একই আইনের ২৭ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাভোগের আদেশ দেয়া হয়। তবে এই দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন বাবর।
২০০৭ সালের ২৮ মে তৎকালীন সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন বাবর। আর তখন থেকেই বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন বাবর।
২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা করা হয়। মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। একই বছরের ১২ আগস্ট বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।