সরকারি একোয়ারভূক্ত ভূমি গোপনে দলিল করে সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান কোটিপতি //ময়মনসিংহ দূদকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে
ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
মোঃ জাহিদ হাসান পতিত সরকার আওয়ামী লীগের আমল থেকেই ময়মনসিংহ সদরে সাব-রেজিস্টার হিসেবে বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন অতিবাহিত করছেন। আওয়ামীলীগ আমলে তার কোন জবাবদিহিতা ছিলোনা!প্রত্যক্ষদর্শীর মতে সে সময় তিনি জনসাধারণের টাকা বিশেষ করে ময়মনসিংহের চরাঞ্চলবাসীর ঘামে ঝরানো টাকা দেদারসে লুটপাট করেছেন যেখানে সরকারকে রাজস্ব দেওয়ার তো কোন প্রশ্নই আসেনা! কারণ সরকারটা তো ছিলো আওয়ামীলীগ।
জানা গেছে, প্রায় ৮-৯ মাস ধরে জাহিদ হাসান সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে ময়মনসিংহেই কর্মরত আছেন। তিনি বড় সৌভাগ্যমান কারণ এখনও তিনি একই জায়গায় আছেন বহাল তবিয়তে তবে জাহিদ হাসানের বিপুল দূর্ণীতি বর্তমানে অত্যন্ত সুকৌশলে এবং গোপনে অব্যাহত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলও গোপনেই এই অভিযোগটি এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন যা রাষ্ট্রবিরোধী ও স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করা হয় । জানা গেছে, দালাল চক্র,ঘুষের টাকা লেনদেন সহ বিভিন্ন অপকর্মের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন একই অফিসের সহকারী বাবুল! ঘুষ বাণিজ্য সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেন তিনি!
ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়– দেশবাসী তথা ময়মনসিংহ বাসী অথবা ভূমি
সংক্রান্ত বিষয়ে যারা বিশেষভাবে অবগত আছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন প্রজাতন্ত্রের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন যে সমস্ত ভূমি সমূহ দ্বিগুণ-তিনগুণ অধিক মুল্যে জনসাধারনের কাছ থেকে ক্রয় করে নেন সেই ভূমি গুলো জনসাধারন অর্থ্যাৎ গ্রহিতাদের কোনরুপ পূণঃ দলিল করতে হয়না।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ ময়মনসিংহ শহর এলাকা এবং চরাঞ্চলের একোয়ারভুক্ত ভূমিগুলোকে দ্রুত দলিল করে নিতে হচ্ছে যা আইনত অবৈধ বলে মনে করছেন একোয়ারভুক্ত ভুমি সমূহের গ্রহিতারা।
অভিযোগে জানা গেছে, ইতোমধ্যে একাধিক একোয়ারভুক্ত ভূমির দলিল গোপনে করেছেন ময়মনসিংহ সদর সাব-রেজিস্টার মোঃ জাহিদ হাসান। জানা গেছে, তিনি গ্রহিতাদের এক রকম চাপের মুখে রেখে দলিল করেন! এভাবে ইতোমধ্যেই জাহিদ হাসান হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা! এমন অনেক দলিলের মধ্যে একটির গোবিন্দপুর মৌজা এস এ নম্বর ৯৪৫ দাগ নম্বরে বিআরএস ১৩৩৩ মালিক মৃত তাহের মোল্লা চেয়ারম্যান। জানা গেছে, সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান এরকম দলিল করেছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, ময়মনসিংহ সদর সাবরেজিস্টার অফিসে যেমন হচ্ছে ভূয়া দলিল তৈরি করার কায়-কারবার তেমনি নতুন করে বাড়ছে অচেনা লোকজনদের আনা-গোনা।
বিষয়টি সরেজমিন করতে গেলে এই প্রতিনিধিকে মারধর করতে তেরে আসেন সাব-রেজিস্টার জাহিদ হাসান! এমনকি কতিপয় সাংবাদিকদের দোহাই দেন তিনি। জানা গেছে, অফিসে দালালদের চাপ নাকি হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে এবং এই প্রতিনিধির সামনেই সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান তাঁর কিছু লোককে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি আমার নামে ঘুষ নাও? তারা উত্তরে বললেন না! পরবর্তীতে প্রকাশিত হলো সাবরেজিস্টার জাহিদেরই আশীর্বাদ পুষ্ট লোক তারা! গ্রাম্য প্রবাদে যা বলা হয়, তিনিই কন্যার পিতা আবার তিনিই বরের পিতা!!
অভিযোগে জানা গেছে, এই ভাবে একই কায়দায় সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যেমন ভাবে একচেটিয়া অর্থ আত্নসাৎ সত্য গোপন করে দূর্ণীতি করে গেছেন একই ভাবে আজও দূর্ণীতিির চরম শিখড়েই আছেন!
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের জোর দৃষ্টি কামনা করে ভুক্তভোগী মহল জানান, ময়মনসিংহ সদরের সাব রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসানের এই দূর্ণীতি আর অপ-কৌশলের বিরুদ্ধে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত অন্যথায় ময়মনসিংহ দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের হস্তক্ষেপ কামনা করে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হোক।