দিনাজপুরের খানসামায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক মিঠুর বাড়িতে অনশন করেছে প্রেমিকা দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সহজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সারেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সহজপুর গ্রামের সৈয়দ ছমছেদ আলীর ছেলে মো. মিঠুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রেমিকা ওই শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমিকের পরিবার স্ত্রী স্বীকৃতি না দেওয়ায় পর্যন্ত নিজের বাড়িতে ফিরবে না বলে জানিয়েছেন ওই প্রেমিকা। এদিকে মাস খানেক ধরে প্রেমিক নেই বাড়িতে।
তাকে পরিবার লুকিয়ে রেখেছ বলে অভিযোগ করছেন ওই প্রেমিকা। প্রেমিক মিঠুর বাড়ির আঙিনায় স্ত্রীর স্বীকৃতিতে অবস্থান করছে ওই প্রেমিকা। গত চার বছর আগে ফেসবুকে প্রেমিক মিঠুর সাথে পরিচয় হয়। প্রায়ই তাকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রথমের দিকে প্রতিনিয়ত মোবাইলে কথা হয় প্রেমিকের সাথে, পরে ধীরে ধীরে প্রেমিক মিঠুর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমিকা অভিযোগ করে বলেন, এ বছরের পহেলা মে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার এক কাজির মাধ্যমে বিয়ে করি। নিজ উপজেলার এক ডাক্তারের পরামর্শে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ কিনে কয়েকবার তার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে তার কথায়। স্ত্রী স্বীকৃতি না দিলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে জানান ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে মিঠুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে ছেলের বাবা সৈয়দ ছমছেদ আলী বলেন, আমাদেরকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করেছে। আমার ছেলে এক মাস ধরে নিখোঁজ। তাকে আমারা খুঁজে পাচ্ছি না। বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের পাত্তা দেয়নি।
এ বিষয়ে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের রেয়াজুল ইসলাম বাবুল বলেন, এর আগেই মীমাংসার জন্য ডাকা হয়েছিল। মেয়ের পরিবারের কেউ আসেনি। মেয়ের দাবি ওই ছেলের সঙ্গেই সংসার করবে। যদি তারা পুনরায় মীমাংসা করতে চায়, আমি যাব।
এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।