খুলনার রূপসায় ইসহাক সরদার ও ফেরদাউস আহম্মেদ সরদারের যতো অত্যাচার নির্যাতন
স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা রুপসা থানা আজাদ ব্রিক্স এর মালিক সরদার ইসাক আহমেদের দুর্নীতির শেষ নেই তিনি নন্দনপুর সহ আশপাশে সরকারি জায়গার মাটি কেটে ঈট তৈরি করছেন কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননা, সবার মুখ বন্ধ, কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না, এখন সময় এসেছে তাই মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে খোকনের বাড়ি হইতে পথের বাজারের মেইন রোড পর্যন্ত যে রাস্তাটি ছিল সেটা চেনার আর কায়দা নাই, চিনতে পারবে না কেউ, মাটি এমন ভাবে কেটে নিয়ে ইট তৈরী করছে, ধরার কোন কায়দা নেই। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার কোন অস্তিত্ব নেই এবং একটি ঘর তৈরি করে ইসহাক সরদার। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন বলেন তারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা ও ভিটে মাটি কেটে নিয়ে গেলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি।
তবে আপনারা সাংবাদিক গন সহযোগিতা করলে আমরা সেনাবাহিনী ও প্রশাসন এর নিকট লিখিত অভিযোগ দিব ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে চাই তখন তাদের এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা কাজ করবো বলে জানিয়ে চলে আসি।
এলাকাবাসী আরো বলেন শুধু আঁধার ব্রিক্স এর নন্দনপুরের বাটা নয় শ্রীপাল তলা, আলাইপুর, ঘাটবুক ইউনিয়নে ও তার ইটের বাটা রয়েছে প্রত্যেকটার মাথায় সরকারি জায়গাসহ ব্যক্তি মালিকানা জায়গার উপর থেকে মাটি কেটে নিয়ে ইট তৈরি করছেন। আরও বলেন ইসহাক সরদার এর ইটের ভাটার কারনে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা মাটি ও ইটের গাড়ি চলাচলের কারনে ধুলায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আর বাসা বাড়িতে ধুলা ময়লা গিয়ে আসবাবপত্র থালা বাসন হাঁড়ি পাতিল পোশাক বইপত্র সহ লেখাপড়ার ক্ষতিও হচ্ছে।
ইসহাক সরদার বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যান তাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্বরোডের পাশ থেকে এমনভাবে মাটি কেটে নিয়ে গেছে। সুইচগেট দিয়ে পানি নামার পরে বিশ্বড়োডটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে এলাকাবাসী জানান।
এ বিষয়ে ইসহাক সরদার এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন রাস্তা অনেক আগে ছিল পনিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আবার বলেন এখানে রাস্তা ছিলোনা সরকারি ম্যাপে ডিসি এলএ শাখার সার্ভেয়ার এই রাস্তাটি ম্যাপে আছে বলে জানান ইসহাক সরদার বলেন ছিল এখন নেই আর আমার ঘরটি ভেঙ্গে পরে আছে অন্যান্য বিষয়গুলা এড়িয়ে যান।
অত্যাচার অনিয়ম দুর্নীতি ও নির্যাতন নিপীড়ন এর মধ্যে মানুষকে দের যুগ ধরে টর্চারিং করে আসছেন ইসহাক সরদার ও তার ভাই অধ্যক্ষ ফেরদাউস সরদার। এদের চেহারায় নানা অপকর্ম লুকিয়ে আছে খুলনার রুপসায়। হিন্দুদের জায়গা দখল, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়ি ঘরে লুট, ধর্ষণ নির্যাতন করছেন বছরের পর বছর।
সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই ইসহাক সরদার ও ফেরদাউস সরদার এর। কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায় অভিযোগ করে বলেন আমরা মারখেয়ে খুলনা মেডিকেলে বহুদিন কাতরাইছি পুলিশ ওদের কথা শুনে আমাদের মামলা নেয়নাই। আমরা খুলনায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, ও বিভিন্ন দপ্তরে বিচার পাইনি।
আমরা আশাকরি আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে বিচার পাবো।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ প্রসঙ্গে বলেন, যে হারে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে আওয়ামী লীগ দলের নেতাকর্মি ও চেয়ারম্যান গন এখন সময় তাদের উচিত বিচার করা হোক।
আরও জানান যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে, ঘরবাড়ি লুটপাট করেছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। দাবি তুলে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যে বলেছি যারা এগুলো করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা ভূমিচ্যুত হয়েছে তাদের ভুমি ফিরিয়ে দিতে হবে।’’
‘‘আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যত হামলা হয়েছে সবক্ষেত্রে আমরা দায়মুক্তির সংস্কৃতি দেখেছি। নতুন প্রশাসন দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে কি না, এখন সেটিই দেখার বিষয়।’’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৪ অগাস্ট ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় দাবি করেন যে, “ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতেই, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের একটা চক্র পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে মাইনোরিটি নির্যাতনের একটা অলীক কাহিনী প্রচার করে আসছে।” এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ইউনিয়ন, উপজেলা চেয়ারম্যানগন যুগ যুগ ধরে হিন্দুদের অত্যাচার নির্যাতন ও জায়গা জমি দখল ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন। সাংবাদিক ভাইয়েরা উদঘাটন করুন আমরা আইনের মাধ্যমে তাদের কঠোর বিচারের আওতায় আনবো। আরও অনুসন্ধান চলছে জানতে পারবেন আগামী পর্বে।