মোঃ মোবারক হোসেন নাদিম স্টাফ রিপোর্টার
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানা সাইনবোর্ড এলাকায় নারী সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এখনো কোন মামলা হয়নি এবং কেও আটক হয়নি।
অবরোধের সময় সংবাদ সংগ্ৰহ করতে গেলে শনিবার বিকেলে এক নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে আন্দোলনকারী বিএনপির লোকজন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা যে যার মতো করে এলোপাথাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে,কেও কেও লাথি মারতে থাকে,কেও ঘোসি মারে , এবং জোর পূর্বক তার গায়ে বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকে। এসময় তার গালে আগুনের ছ্যাঁকাসহ শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন করা হয়।এ সময় তার সঙ্গে থাকা আইডি কার্ড,ওব্যাজ, মোবাইল ফোন, প্রয়োজনীয় জিনিস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় আন্দোলন কারীরা।
প্রকাশ্য দিবালোকে এঘটনা ঘটায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।জানা যায়, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোডে সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিল লোকজন।
এই খবর পেয়ে ঐ নারী সাংবাদিক সহ তিন নারী সাংবাদিক সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্ৰহ করতে গেলে সেই সময় সে কোন সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেনি, বরঞ্চ তিনি নিজেই সংবাদে শিরোনাম হয়ে গেলেন। আন্দোলনকারীরা তাকে কিল,ঘুসি,লাথিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে।
এ সময় তার পরনে কাপড় টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে। স্যালোয়ার খুলে ফেলে এবং সেই সাথে তার গোপনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয় ।এ সময় তাকে চার দিক থেকে ঘিরে শ্লীলতাহানিসহ নানাভাবে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করতে থাকে।
তিনি আরো জানান, এ সময় ঘটনা স্থলে জটলা দেখে আকাশ থেকে হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ফের তারা একত্র হয়ে হেনস্তা করতে থাকে। ওই নারী সাংবাদিক আরও বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল এসে বলে আমি তোকে পিছন থেকে ঘুসি মারলাম তুই দেখিসনি। তুই তোর ব্যাগ কেন ছারিসনি কেন।
এ সময় ওই নারী সাংবাদিক আরও জানান আন্দোলনে তার উপর হামলা কারীর মধ্যে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল,ও মামুন মাহাম্মুদ এর লোক এবং রিয়াদ এর লোক ও টিপু এর লোক ছিল ঘটনা স্থলে। ওই নারী সাংবাদিক আরও জানান যে আমি তাদের কে একজন সংসদ কর্মী হিসেবে চিনি।
তিনি আরও জানান এ সময় ঘটনা স্থলে। আমাকে যারা অমানুষিক নির্যাতন করেছে তারা কোন ছাত্র ছিল না। সেই খানে ছিল সব মধ্যে বয়স্ক লোক। এক পর্যায়ে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ইকবাল এই নারী সাংবাদিক এখন মারা যাবে, আর মারা গেলে আমরাই ঝামেলায় পড়ে যাব সবাই। তাই সেখান থেকে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং কাউন্সিলর ইকবাল তাকে একটি অটোতে তুলে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর দিকে পাঠিয়ে দেয়।ওই নারী সাংবাদিক আরও বলেন ১৯৭১ সালের বর্বরতা কেউ হার মানায় এই ২০২৪সালের বর্বরতা