সাভার সরকারি কলেজের সাবেক ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রলীগ নেতা ফারহান শাকিল (ওরফে সাইদুর রহমান শাকিল) তিনি সাভার সরকারি কলেজের বর্তমান প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্স এর ছাত্র। কলেজ ছাত্রলীগে থেকে পুরো সিস্টেমই যেন চলেছে তার ইশারায়। ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, বেতন কমানোসহ কলেজের প্রতিটি অবৈধ কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি।তার ইশারায় চলত এসব অবৈধ কাজ। কলেজে থাকাকালীন এসব বাণিজ্য করে বিপুল পরিমাণে অর্থ আয় সহ ভূমি দখলেও ছিল তার বিরাট সুনাম। তার বোনজামাই সরকার মোঃ আমিনুল মোমেনীন ওরফে জাপান এর সাথে মিলে সাভারের বিভিন্ন জায়গায় ভূমি দখল চাঁদাবাজির মতো বড় বড় কাজে যুক্ত ছিল তারা। সাভার সরকারি কলেজ সরকারি হবার পূর্বে বেতন কমিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত প্রতিবছর। এ নিয়ে সাভার সরকারি কলেজের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তার সহপাঠী এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন – ফারহান শাকিল যে বাইকটা চালায় সেটা তার এই অবৈধ টাকায় কেনা তার হাতে আইফোনের যে মোবাইলটা আছে সেটাও তার এই অবৈধ উপার্জনে কেনা। এছাড়া তিনি আরো বলেন -বেতনের টাকার দায়িত্ব সে নিজে নিত না, তার কিছু সহচর দিয়ে তিনি এ কাজ করাতেন, এ নিয়ে একবার অনেক বড় ধরনের সমস্যাও হয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন সময় সে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নির্যাতন করতো। ছাত্রলীগের মিটিং ছিল না গেলে সে ক্লাসে ঢুকে করা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসতো। এমনকি কলেজ ছুটির পর ওই ছাত্রছাত্রীদের আটকে রেখে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দিত। আমাদের এক সহপাঠীকে ৫-৭ জন মিলে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার মত জঘন্য ঘটনাও এই ছাত্রলীগ নেতা ফারহান শাকিল করেছে। সাভারের শহীদ ইয়ামিনের হত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। সাভার মডেল থানায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। স্বৈরশাসক পতনের পর এই নেতা ও তার দুলাভাই গাঁ ঢাকা দিয়ে আছেন।