হাবিবা আক্তার ঃ
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ১১৩৭ স্মারকের নির্দেশনার অলোকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক সেলের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। যাতে গরীব ও অসহায় মানুষ কম মূল্যে চাল ও আটা কিনতেপারে । কিন্তু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে এ সেবা থেকে বঞ্চিত গরীব মানুষগুলো। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঢাকা রেশনিং ২৯৯ জুরাইন ঢাকা—১২০৪ এর অফিসে পদে পদে টেবিলে টেবিলে চলে দুর্নীতি।
ডি ৭ এর ডিলারগণ ট্রাক সেলের সামনে থাকেন না, কথিত ভাড়া দেন ডিলারশীপ। মুলহতা রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহিন বেগম ও লুংফর নেছা।
ডি ৭ মিরপুর এরিয়াতে বেশির ভাগই ডিলারগণ ডিলারশীপ ভাড়া দিয়ে অথবা কথিত প্রতিনিধি দিয়ে ডিলারশীপ চালানের অভিযোগ রয়েছে।এ বিষয় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুরুব্বি ডিলার বলেন বয়স হয়েছে আর কতো চুরি করবো।
প্রতি সেলে এ আরও তোওফিক ই—এলাহি কে দিতে হয় ৩৫০০ টাকা, যিনি তদারকী করেন তাকে দিতে হয় ২০০০ টাকা, ট্রাক ভাড়া ৩০০০ টাকা, দুই জন কর্মচারী বেতন ২০০০ টাকা, মাল আনলোড ৯০০ টাকা, আনলোডের সময় ঘুষ ৬০০ টাকা, আরও খরচ রয়েছে ২০০০ টাকা। সর্বমোট ১৪০০০ টাকা খরচ হয়। যদি চুরি না করি তাহলে প্রতিদিন লস হয় ৩০০০ টাকা, বাধ্য হয়েই ডিলারশীপ ভাড়া দেই।
তবে অফিসিয়ালি আমরা কোনো ডিলার শিকার করি না যে ডিলারশীপ ভাড়া দেই। আমাদের ভাষায় আমরা বলি যে প্রতিনিধি দিয়ে চালাই। ডিলারগণ দু:খ প্রকাশ করে বলেন কষ্ট করি আমরা আর মজা লুটে নেয় এ আরও গণ ।
সূত্রে জানা গেছে ডি ৭ এর ডিলার নাসির উদ্দিন ভূঁইয়ার অল্প কিছু চাল নিয়ে সকালে এসেছিল বেশির বাগই চাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অন্য জাগায় বিক্রি করে আসেছে । বেলা ১২ টার সময় তার গাড়িতে চাল নেই বলে জানায়। ডিলার নাসির উদ্দিন ভূঁইয়ার ট্রাক সেলের সামণে ছিলেন না । তবে তার প্রতিনিধি বিষয় টি অস্বীকার করেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের কয়েক জন এ আরও আছে যাদের সম্পদের শেষ নেই। এ আরও নিজেদের নামে এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নামে রয়েছে জমি ফ্লাট—বাড়ি ও ব্যাংক একাউন্ট । এরকম দুইজন এ আরও দের নামে দুর্নীতি দমন সংস্থা দুদক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয় লুংফর নেছাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি । পরবর্তীতে তার একজন প্রতিনিধি বলেন নীতিমালায় আছেন ডিলার অথবা তার প্রতিনিধি ডিলারশীপ পরিচালনা করতে পারবে। এ বিষয় তদারককারী মাজেদা খাতুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনিও একই কথা বলেন । এ আরও দের দুর্নীতির বিষয় জানার জন্য এ আরও ডি ৭ মো: তোওফিক ই—এলাহি কে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ডিলার মো: রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার নাম্বার এ ফোন দিলে তার প্রতিনিধি কথা বলেন আর ডিলার শাহিন বেগম ফোন রিসিভ করেনি । গরীরের ও এম এস এর চাল এবং আটা নিয়ে চলছে তেলেসমাতি কারবার। এ খাত নিয়ে ধারাবাহিক লেখালেখি করেন এমন একজন সংবাদ কর্মী বলেন এম এস এর কিছু কিছু এ আরও এবং তদারককারী আছে যাদের বিষয় দুদক যদি তদন্ত করে তাহলেই বেরিয়ে আসবে এদের সম্পদের আসল পরিমান।