উত্তরা আবাসিক হোটেলে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড
রাজধানীর উত্তরার বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল গুলোতে দিনে দুপুরেই চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড। সব কিছু জানার পরেও নিরব ভুমিকায় প্রশাসন।
সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে উত্তরার এলাকায় বেশ কিছু আবাসিক হোটেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব আবাসিক হোটেল গুলো বন্ধের বিষয়ে থানা পুলিশকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। সাধারণ মানুষজন বলছেন পুলিশের নিরব ভূমিকা থাকায়এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে।
উত্তরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর গুলোতে গোপনে চলে আসছিল এই ব্যবসা। সরকার পতনের পর প্রকাশ্যেই চলছে দেহ ব্যাবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকালাপ । এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ বলেই চলছে। প্রশাসন বলছে অনেক তথ্যই নেই তাদের কাছে। তবে অনুসন্ধান মিলেছে উত্তরা হাতে গোনা কয়েকটি আবাসিক হোটেল বাদে প্রায় সবগুলি হোটেলেই বেশির ভাগ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।
শুধু আবাসিক হোটেলই নয় এই দেহ ব্যবসা চলছে গোপনে উত্তার বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসাতেও। উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে কৌশলে চালাচ্ছে এই ব্যবসা। আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় কাটাতে খদ্দেরকে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। এরকম টা বলেন আব্দুল্লাহপুর আবাসিক হোটেলের রুপালি থ্রি স্টার এর ম্যানেজার ইমরান আছে আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরি। হোটেল ইন্টারন্যাশনাল আবাশিক, ,হোটেল বেইজিং, এসব হোটেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি হোটেলে দশটা পনেরোটা মেয়ে দিয়ে তারা এই অনৈতিক কর্মকান্ড গুলুন চালাচ্ছে আর এসব হোটেলে রাত কাটাতে হলেতো কথাই নেই,, গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া,বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।
উত্তরার বেশির ভাগ আবাসিক হোটেল গুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। এক বাক্য হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতিতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুংকার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায় , দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ।এগুলোতে তরুণ ও উঠতি বয়সের ছেলেদের আড্ডা ও আনাগোনা লক্ষ করা যায়। এই সব হোটেল গুলোতে কলগার্ল ও দেহ ব্যবসায়ী নারীদের অবস্থান থাকে। আর এই ব্যাবসার বিশেষ কৌশলে গড়ে ওঠে ইয়াবা ও মাদকের ব্যাবসা।
দিন দিন যুবসমাজ এই ফাঁদে পা দিয়ে অন্ধকার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে এই সকল আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রশাসন অভিযান চালালেও রাত পোহালে আবার সেই আগের চিত্রেরই দেখা মেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের সামনেই এইসব চললেও প্রশাসন কিছু করছে না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালায়, উচ্ছেদ করার জন্য মূলত অভিযান চালায় না। সাধারণ সচেতন মানুষ এই ধরনের অপকর্ম থেকে উত্তরা
বাশীকে মুক্ত করতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। দ্বিতীয় পর্বে আরো বিস্তারিত থাকবে।
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন আমি নতুন এসেছি আসার পর থেকে উত্তরা এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে অভিযান চালিয়ে অনেক মাদক উদ্ধার করেছি তাদেরকে আইনের আওতায় এনেছি আর এই অভিযান চলমান থাকবে। আর কিছুদিন যাবত পুলিশ প্রশাসন না থাকাতে তারা একটা সুযোগ নিয়ে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড গুলো করেছে। আমরা খুব তাঁরা তারি এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব তিনি সাংবাদিকদের কে আহবান করেন তামাদেরকেন তথ্য এবং পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।