চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সিকিউরিটি সার্ভিস
ঋতু আক্তার ঃ
চাকুরি দেয়ার নামে মহা প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে উত্তরার (RU- সিকিউরিটি সার্ভিস নামে) একটা ভুয়া প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি উত্তরা কাঁচা বাজার সংলগ্ন হাসান মাহমুদ কমপ্লেক্স-এ অবস্থিত। কথিত প্রতিষ্ঠানটির নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স। চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা, অনুসন্ধানে এমনটাই প্রমাণ মিলেছে।
লোভনীয় অফারে অনেক আগ্রহীরা টাকার বিনিময়ে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর জানতে পারেন বেতন নয়, নতুন চাকরি প্রত্যাসীকে এনে কমিশন আদায় করতে হবে,সেটাই তাদের বেতন।
এভাবে অসংখ্য চাকরি প্রত্যাসীর কাছ থেকে এই অভিনব প্রতারণায় অর্ধকোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। এই চক্রের কবলে পড়ে টাকা খুইয়ে অবশেষে সাংবাদিকদের দ্বারস্ত হয়েছেন চাকরি প্রার্থী কয়েকজন ভুক্তভোগী যুবক। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক তবে প্রয়োজন পড়লে সব তথ্য দিবে। এরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূলহোতা রাসেল ও তার সহযোগীরা হাসান মাহমুদ কমপ্লেক্সে ভবনের তিন তালায় ফ্লাট ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল প্লাটফর্মে চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসছে। তাদের কোম্পানিতে ম্যানেজার, মার্কেটিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, সিকিউরিটি গার্ড এবং তাদের অধীনে বিভিন্ন অফিস, ব্যাংক, এটিএম বুথ, থ্রি স্টার অ্যাপার্টমেন্ট, কল সেন্টার, গার্মেন্টস-টেক্সটাইল, মিল-ফ্যাক্টরি, বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্ট, মেট্রোরেল হেড অফিস, চায়না প্রজেক্টসহ আরো কিছু জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে কিছু কর্মচারী নিয়োগের জন্য তাদের ফেইসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিতো। জানা যায় স্থানীয় দুই একজন নামধারী সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে ও স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ করে তারা দীর্ঘদিন যাবত এই প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছ। তবে R U সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের মালিক রাসেল অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেন, উত্তরার ছাত্র আন্দোলনের অনেক সমন্বয়ক আমার ভাই ব্রাদার আর নিউজ করেও কোন লাভ হবে না।
পরবর্তীতে নিউজটি না করার জন্য কয়েকজন সাংবাদিকদের কে দিয়ে অনুরোধ করা হয়।
তবে দক্ষিন খান থানার ওসি বলেন, আমি এ বিষয়ে আগে জানতাম না আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম, তবে আমরা সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিব।