সমন্বয়ক ও শিক্ষকদের সততার বিজয়- পূর্বের প্রিন্সিপাল পদেই ডাঃ মোঃ আব্দুল আলিম
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে যখন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলছে ঠিক সেই সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈষম্য ও শারীরিশ মানষিক নির্যাতনের শিকার হন উত্তরা হোমিও প্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা: মোঃ আব্দুল আলিম।কলেজের একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে প্রিন্সিপালের প্রতি স্বার্থের টানাপোড়ায় ব্যাক্তিগত আক্রোশ থেকে একটি কুচক্রী মহল প্রিন্সিপালকে অপসারন করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
যার প্রেক্ষিতে গত ২২/০৮/২০২৪ ইং তাং উত্তরা হোমিও প্যাথিক কলেজের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন সময় কোমলমতি ছাত্র /ছাত্রী দের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে প্রপা কান্ড ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে ঐ দিনের পরীক্ষা ২ ঘন্টা বন্ধ করে ৩জন শিক্ষকের নেতৃত্বে ছাত্র /ছাত্রী দের প্রিন্সিপালের বিপক্ষে দাড় করায়। তার প্রতি বিরোধিতা ও মারমুখী উগ্র আচরনের মধ্য দিয়ে প্রিন্সিপালকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখায় ও শারীরিক নির্যাতন করে, পূর্বের পরিকল্পিত লিখিত পদত্যাগ পত্র কাগজে তার থেকে পদত্যাগের স্বাক্ষর নেয় এবং তাকে বের করে চেম্বারে তালা মেরে দেয়।বিষয়টি কলেজে ছড়িয়ে পড়লে সমন্বয় কমিটি ও অধিকাংশ শিক্ষকরা (৯০%) গভীরভাবে মর্মাহত হয়।
ছাত্র ও সমন্বয়করা স্যারের নিকট ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সম্পূর্ন চক্রান্ত মূলক বিষয়টি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শিক্ষা ,ডিসি অফিস ও পর্যবেক্ষণ করে ছাত্রদের ভূল স্বীকার ও অধিকাংশ শিক্ষকদের (৯০%) সমর্থনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন শিক্ষা -নুতন আদেশ জারির মাধ্যমে ডাঃমোঃআব্দুল আলিমকে পূর্বের পদে স্হায়ী ভাবে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত করা হয়। উত্তরা হোমিওপ্যাথিক কলেজের উন্নয়ন ও প্রিন্সিপালকে স্বপদে বসানোর জন্য ছাত্র শিক্ষক সমন্বয়করা যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেন। উল্লেখযোগ্য হলো ডাঃ আমেনা হক,ডাঃ আশরাফুল নেছা ,ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদের,ডাঃ রাবেয়া খাতুন ,ডাঃ আব্দুল বারেক বিশ্বাস ,ডাঃ আমিনুল ইসলাম ,ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান প্রমূখ। সমন্বয়কারী ছিলেন ,শাহীন মির্জা প্রথম বর্ষ,মোঃ জাকারিয়া হোসেন প্রথম বর্ষ,সুজিত ঘোষ প্রথম বর্ষ, মোঃ রিদোয়ান প্রথম বর্ষ, মোঃ ইকবাল হোসাইন আকন্দ দ্বিতীয় বর্ষ,সানজিদা প্রধান দ্বিতীয় বর্ষ, নওশীন রুপা চতুর্থ বর্ষ,সহ ছাত্র /ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ।
প্রিন্সিপাল ডাঃ মোঃ আব্দুল আলিম উত্তরা হোমিওপ্যাথিক কলেজকে একটি আদর্শ ও প্রথম সারির কলেজে রুপান্তর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।ইতি মধ্যে কলেজের ফান্ডে এক কোটি টাকার একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড তৈরী করেছেন এবং অল্প সময়ই কলেজের নিজস্ব জমিতে ভবন তৈরী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।ছাত্র /ছাত্রীদের লাইব্রেরী ,মেডিকেল সরন্জাম প্যাক্টিকেলের যন্ত্রপাতি সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে এবং পাশের হার শতভাগ নিশ্চিত করে মেধাবী ডাঃ তৈরী করার জন্য প্রিন্সিপাল আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কলেজ উন্নয়নে প্রিন্সিপালের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের জন্য সকল ছাত্র /ছাত্রী ,শিক্ষক ও সমন্বয়কদের সহযোগিতা কামনা করেন।