1. admin@dailydhakarcrime.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন কেন্দ্রীয় কমিটি কে পঞ্চম তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সংবর্ধিত, শরণখোলায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মানববন্ধন ধামইরহাটে শুভ বড়দিন উপলক্ষে ৬৯টি গীর্জায় জিআর চালের ডিও বিতরণ সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীদের ১০ শতাংশ অগ্রাধিকারের দাবিতে মানববন্ধন টঙ্গীর ময়দানে তাবলিগের দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ১০০ জনের বেশি দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় পূবাইলে দোকান ভাঙচুরসহ গরু নেয়ার পূবাইল থানায় অভিযোগ সাতক্ষীরায় শিশু রাহি হত্যার আসামীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন সিলেটের গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার বৃহত্তর দক্ষিণ অঞ্চলীয় সমিতি গাজীপুর এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও পরিচিতি সভা।

রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর মা ভবনটি অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে
রাজধানীর উত্তরার আব্দুল্লাহপুর মা ভবনটি অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চাকরির নামে মোটা অংকের টাকা  মোলহতা দাউস তিনতলায় করেছেন একটি বিলাসবহুল অফিস রিসিপশনে বসানো হচ্ছে একাধিক অবর্তী বয়সের মেয়েদেরকে জানা যায় এই কোম্পানি কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের এক নেতা চালাতেন সরকার পতনের সাথে সাথে তার দায়িত্ব নেন দাউছ সিকিউরিটি কোম্পানীর আদলে চলছে প্রতারণা। চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অর্থ।
বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সিকিউরিটি কোম্পানিতে লোভনীয় বেতনে চাকরির সুযোগ। অনেক সময় সরকারি লোগো ব্যবহার করেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। যা দেখে আকৃষ্ট হয় অল্প বয়সী তরুন তরুনী আর এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। মেসেজের মাধ্যমে কথা বলে কোন রকম অফিসে আনতে পারলে চাকুরি প্রার্থীদে কাছ থেকে আদায় করা হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাম, হোস্টেল খরচ, পোশাক বাবদ এভাবে বিভিন্ন অযুহাতে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এই মোটা অংকের টাকা। অর্থ আদায় হয়ে গেলে তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়। নিয়োগের জন্য তারিখ অনুযায়ী আসলে আবার নতুন তারিখ দেয়া হয়। এভাবে ঘুরতে হয় তাদের। একসময় তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়। লোক নিয়ে আসলে কমিশন দেয়া হবে নয়তো কোন বেতন দেয়া বা কাজ দেয়া হবে না। অবশেষে তাদের কিছুই করার থাকে না কারন কাছ থেকে আগেই স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরকম একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে উত্তরায়। সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে কয়েকজন বসে ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করছে। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাড়ির তিন তলায় ইফিসিয়েন্ট ইনটেলিজেন্ট র্ফোস(ই.আই.এফ) নামক তথা কথিত এক প্রতিষ্ঠানের। বাহিরে এবং ভেতরে কোন সাইন বোর্ড না থাকলেও কয়েকজন তরুন তরুনী নিয়েই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে অবস্থানরত শামিম নামের একজনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমনিতেই অফিস করছেন। কোন বেতন ভাতা এখনো ঠিক করা হয় নি। তাহলে বিনা বেতনে কাজ করছেন নাকি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন অফিস খোলা হয়েছে তাই।
উত্তরা  সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান। কোথাও কোন সাইন বোর্ড না থাকলেই কয়েকটি তরুনী দিয়ে চলছে তাদের কার্যক্রক । এবিষয়ে কোম্পানির মালিকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি । তামিম নামের একজন বাহির থেকে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, মালিক দাউস তিনি বাড়িতে আছে।ঢাকায় আসলে দেখা করবে। এবিষয়ে
 আরো জানায় রতন মাসে  টাকা থানায় দিয়ে থাকে।  সিকিউরিটি কোম্পানিতে থাকা রেশমি নামের এক তরুনী জানায়, লোক আনতে পারলে জন প্রতি এক হাজার টাকা কমিশন পেয়ে থাকেন এবং তার পদবী হচ্ছে টিম লিডার।
সিকিউরিটি কোম্পানি লিমিটেড নামক আব্দুল্লাহপুর মা ভবন প্রতিষ্ঠানে গেলে দেখা মেলে একই চিত্র। সেখানে যাওয়া মাত্রই   এক মহিলা জোর গলায় তেড়ে আসেন সাংবাদিকদের উপর। কেন আসছেন? আমার প্রতিষ্ঠানে, আমাদের এখানে সাংবাদিক। আছে এভাবে  পরিচয় জাহির করতে থাকেন। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে চাইলে  জানান প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক গেলে তার মালিক তার সাথে রাগা রাগি করেন, যে কারনে সাংবাদিক যেতে বারণ।
এভাবে চাকুরি প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংগবদ্ধ প্রতারক চক্র। তবে তাদের উৎপত্তি ও প্রশিক্ষনদাতার নাম জিজ্ঞাসা করা হলে জানা যায় বিএলার্ট সিকিউরিটি কোম্পানির নাম ।  বি.এলার্ট সিকিউরিটি যেন গড ফাদার সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে বের হয়ে অনেকেএই প্রতারণা ব্যবসা চালু করছেন বলেও অভিযোগ । বিএলার্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ থাকলেও নির্দিধায় চলছে এই প্রতারণা ব্যবসা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক রিয়াজুল ও আলো বেপরোয়া হয়ে ওঠায় সাধারন মানুষকে এক প্রকারে জিম্মি করেই অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্রটি অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।সাম্প্রতি সাতজন একটি মানবাধিকার সংস্থার কাছে অভিযোগ করলে তাদের মধ্যে একজন হৃদয় নামক শারীরিক প্রতিবন্ধীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে জানতে চাওয়া হয় বিএলার্ট কোম্পানির ম্যানেজার আনোয়ার হোসাইনের সাথে প্রতিবেদককে জানান, আমরা টাকা নেই এটা কোম্পানির নিয়ম।একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীর টাকাও আপনারা মেরে খান কিভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভাই আমি চাকরি করি। আর কেউ টাকা ফেরত চাইলে তাকে দুহাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়।এবিষয়ে উত্তরা জুন উপ সহকারি পুলিশ কমিশনার জানান,অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023 ঢাকার ক্রাইম
প্রযুক্তি সহায়তায় মাহোস্ট আইটি