সরকার পতন হলেও মিরপুরে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে তার দোসররা চাঁদা উঠাচ্ছে।
রাহিমা আক্তার মুক্তা :-
বিগত সরকারের পতন হলেও তার দোসররা এখনো চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। মিরপুর এক নাম্বার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেটে হকার ও দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে তারা । জুয়েল মুন্সী নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট থেকে চাঁদা টাকা তুলা হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে । জুয়েল মুন্সী সাবেক সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টুর সাথে একত্রিত হয়ে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল, পরবর্তীতে এমপি নিখিলের সাথেও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল । ওই এলাকার যখন যে সংসদ সদস্য হয়ে আসে তখন জুয়েল মুন্সী তার হয়ে যায় । তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন জুয়েল মুন্সী । তার অত্যাচারে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা শান্তি মত ব্যবসা ও বসবাস করতে পারেনি। জুয়েল মুন্সী তার বিশাল বাহিনী নিয়ে সার্বক্ষণ তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ।গত ৪ আগস্টে আওয়ামী লীগের মিরপুর ১০ নাম্বারে সমাবেশ চলাকালীন সময়ে প্রায় ২/৩ শতাধিক লোক নিয়ে সেখানে সমাবেশে উপস্থিত হয় জুয়েল মুন্সী । তার বাহিনীরা ধারালো অস্ত্র, লাঠি শোটা নিয়ে সেখানে সে মহড়া দেয় । বলা যায় বিগত সরকারের আমলে মিরপুর এক নম্বর সহ বিভিন্ন এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে এবং এখনো চালাচ্ছে । একাধিক হকারদের অভিযোগে জানা গেছে, জুয়েল মুন্সি ও তার বাহিনী দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের কালেকশনের টাকা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সভাপতি মোহাম্মদ তৈয়বের নিকট জমা দেন । এবং তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সকল অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে । এমনকি মিরপুরের সকল কিশোর গ্যাং সাথে জুয়েল মুন্সী সরাসরি জড়িত রয়েছে । তারা আরও জানায় , মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ লিয়াকত উনি চাঁদাবাজির মেইন সিন্ডিকেট ওনার নেতৃত্বে জুয়েল মুন্সী কাজ করে । ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের পরে অনেকদিন কালেকশন বন্ধ থাকে এখন থেকে আবার নতুন করে দোকানে দোকানে ২০০০ টাকা প্রতি মার্কেটের টাকা দাবি করে । প্রত্যেক দোকানদারের নিকট হইতে জুয়েল মুন্সী নিজেও প্রতিদিন মার্কেটের টাকা তোলে এবং তার বাহিনী সদস্যদের দিও টাকা তোলা হয়। ব্যবসায়িক খলিলুর রহমানের অভিযোগ আগেও যেভাবে এখনো সেইভাবে চাঁদা দিতে হয়। মনে করছিলাম সরকার পতন হয়েছে এখন আমারা চাঁদাহীন ভাবে ব্যবসা করব কিন্তু তার ধূসরদের কারণে এখনো চাঁদা পরিশোধ করতে হয়। এছাড়াও মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর অভিযোগ জুয়েল মুন্সীর মাধ্যমে লিয়াকত ও তৈয়ব চাঁদা তুলে তুলছে । ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করে বলেন শুধু সরকার পতন হয়েছে কিন্তু চাঁদার পতন হয়নি। মার্কেটে ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে তা না হলে ব্যবসা করতে দিবে না জুয়েল মুন্সী জানায়। এ ব্যাপারে জুয়েল মুন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা আমাকে মার্কেটে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দিয়েছে তাই আমি চাঁদা টাকা উঠায় । এ ব্যাপারে মার্কেটের সভাপতি মোহাম্মদ তৈয়ব ও মার্কেটের ডাইরেক্টর মোহাম্মদ লিয়াকত সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা কাউকে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেইনি এবং কাউকে চাঁদা তুলতে দিবও না । আমরা জুয়েলকে কোন টাকা পয়সা তুলতে বলিনি । তারপরও আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে জুয়েল মুন্সী যদি টাকা উঠায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।