স্টাফ রিপোর্টার
নরসিংদীতে বাবুল ওরুফে ট্রাক ড্রাইভার বোমা বাবুলের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত:১২ জুন রোজ বুধবার বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকায় বাগহাটা নিজ বাড়ি হতে শেকেরচর যাওয়ার পথে পথরোধ করে শিলমান্দী সুবোধ চন্দের ফার্নিচারের দোকান কাছে পুর্ব হতে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসী চক্রটি ১। বোমা বাবুলের (৪৬) নেতৃত্বে ২। মো: কামাল হোসেন (৪২) সহ ৫ জন সন্ত্রাস নরসিংদীর সিনিয়র সাংবাদিক আ: ছাত্তারএবং মো: হানিফ খন্দকারের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় তখন সাংবাদিক আ: ছাত্তার মিয়া ও মোঃ হানিফ খন্দকারের ডাকছে লোকজন চলে আসলে সন্ত্রাসীরা নগত টাকা,,হাতের ঘড়ি,স্বর্ণের আংটি, মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত সিএনজি ড্রাইভার শরীফের সিএনজি যোগে পালিয়ে যায়।
তারপরে এলাকার আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় সাংবাদিক আ: ছাত্তার মিয়া ও মো: হানিফ খন্দকার নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় বলে জানা যায় । সুত্রে আরো জানা যায় গত: ৫ মে রোজ রবিবার আনুমানিক দুপুর ১২ টায় নরসিংদী আরশিনগর সদর প্রেসক্লাবের সামনে আসার পর এসব সন্ত্রাসী চক্রটি বোমা বাবুলের নেতৃত্বে সাংবাদিককে হুমকি দেয়, সময় মতো দেখে নিবে মর্মে যে আমাদের কোন বিষয়ের সংবাদ প্রকাশ করতে পারবি না আর আমাদের এলাকায় সাংবাদিকতা করতে হলে তোকে আমাদের গ্রুপকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে।
এদের অপরাধ ও অপকর্মের ব্যাপারে যেন কোন প্রকার সংবাদ প্রচার করা না হয়। আর যদি করা হয় তাইলে সাংবাদিককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় বলে তিনি জানান। এসব ঘটনায় এলাকার স্থানীয় মুরব্বি এবং সিনিয়র সাংবাদিক মহলে জানানো হয়েছিল। সন্ত্রাসী ১। বাবুল মিয়া উরুফে বোমা বাবুল(৪৬)আর তার আপন ছোট ভাই ২। মো: কামাল হোসেন (৪২) সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সাংবাদিক আঃ ছাত্তার মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ১ নং এজাহারনামীয় আসামি মো: বানুল মিয়া উরুফে বোমা বাবুল (৪৬) হাজিপুর ২ নং ওয়ার্ড বি এন পির সেক্রেটারী এবং বিএনপির আমস ক্যাটার, তার বিরুদ্ধে আপন ভাতিজি অপহরনের নারী শিশু কোর্টে একটি মামলা রয়েছে, এই মামলায় জেল খেটে জামিনে রয়েছে।
সম্প্রীতি তার বিরুদ্ধে চরে জোড়া মার্ডার মামলা হয়েছিল। উক্ত মামলায় সে দীর্ঘ দিন জেল খেটেছেন। আলোকবালি টেঁটা বাবুল ওরুফে বোমা বাবুল নামে পরিচিত সে দীর্ঘ ২০ বছর কুয়েতে ট্রাকের ড্রাইভারি করে এখন নরসিংদীতে এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এবং গড়ে তুলেছেন বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। খুবই পরিতাপের বিষয় এরকম মন্দ লোক কিভাবে সভ্য সমাজে বাস করে থাকে। একজন সিনিয়র সাংবাদিক উপর হামলাটি তা ভাল করেনি বলে সাংবাদিক সহ সুধীমহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বোমা বাবুলের কাজ হলো চর এলাকায় দলাদলি, মামলা, হামলা, মারামারির (চুক্তি করে) হামলা, মামলা,বোমাবাজি, খুনাখুনি, সে নরসিংদীতে বিএনপি’র আমস ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আবার মাঝে মধ্যে ভুয়া সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে থাকে।
, তার কাজ হলো সি এন জি যোগে ভাল নিরিহ মানুষকে ব্ল্যাকমেলিং,করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই করা।কোন একটা ছোট্র খাট্ ঘটনা ঘটলে সে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করে, টাকা দাবি করা আর তাকে কেউ টাকা না দিলেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করা জোর জুলুম করা,সে একারনে বিভিন্ন জায়গা হতে গণধোলাই ও খেয়েছে এবং এই চক্রের বিরুদ্ধে থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা অভিযোগ হয়েছে । একাধিক বিয়ে করা এই বাবুলরূপি নারী লোভী বোমা বাবুলের ,সে তার আপন ভাতিজি অপহরণ, মামলায় জেলখেটে জামিনে এসে পুনরায় এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। সূত্রে আরও জানা যায় সে এবং তার ভাই কামাল মিয়া চাঁদাবাজি ছিনতাই ও প্রতারণা দায়ে একাধীকবার জেল খাটে।
তাদের ভাড়া করে নেওয়া নরসিংদীর একটি লোকাল নামওয়াস্তে পত্রিকা রয়েছে এটা তারা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। কেউ যদি তাদের কথা অমান্য করে এই লোকাল পত্রিকায় সম্মানীত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে সম্মানহানি করা হয়। এই লোকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে ও মানহানি মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিদেশ ফেরত আপন দুই ভাই ভুয়া সংবাদ কর্মী পরিচয় দিয়ে, শরিফ ড্রাইভার নামের এক ব্যক্তির সিএনজি ভাড়া নিয়ে সারা নরসিংদী জেলায় চাঁদাবাজি করে ঘুরে বেড়ায়। তাদের সহ বাকিদের বিরুদ্ধেও থানা কোর্টে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে ।
দুই ভাইয়ের একজন ও স্কুলের বারান্দায় যায়নি বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। চরের টেঁটাবাজরা এখন নরসিংদী উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে।নরসিংদীর মানুষ তা মেনে নিবে না।নরসিংদী মডেল থানায় অভিযোগটি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং উক্ত ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। ঘটনাটি জেনে নরসিংদীর প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক সহ সকল স্তরের ব্যক্তিরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। ভিকটিমসহ নরসিংদী বাসি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান শীঘ্রই যেন এসব ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদেরকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।