রাজধানীর সাভার আশুলিয়ায় তৈরি হচ্ছে নকল ও ভেজাল খাদ্য পন্য শিশু-কিশোরদের পছন্দনীয় এই সমস্ত পন্যসামগ্রি চটকদার নাম দিয়ে ও রং-বেরঙের প্যাকেট করে ভেজাল খাদ্য বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ী মদিনা ড্রাই ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এর মালিক ইমাম।
এখানে মদিনার লঘু ছারা বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির লঘু ব্যবহার করে নানা পণ্য উৎপাদিত হয়। আর এসব ভেজাল খাদ্য খেয়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার, লিভার, কিডনিসহ জটিল রোগে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
ইদানিং ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোক্তা ও বিএসটিআই ভেজাল খাদ্য পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও কিছু অসাধি ব্যবসায়ী এখনো প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কারখানায় অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিশুদের দিয়ে এসব ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা না করায় বা আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে এবং ভেজাল খাদ্য তৈরি করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় ঢাকার সাভার আশুলিয়া নরসিংহপুর বাংলা বাজার গড়ে তুলেছেন শিশুখাদ্য তৈরির কারখানা।
এই কারখানাটিতে সেখানে তৈরি হচ্ছে চানাচুর মনক্কা ডাবলিও কাবলি বুট সহ অনেককিছু। নোংরা পরিবেশে একেবারেই নিম্নমানের পচা তৈল ও পশুর চর্বি ধারা তৈরির পর ঢাকা থেকে কেনা চটকদার মোড়কে মুড়িয়ে বাজারজাত করছেন তারা। কারখানায় নেই রাসায়নিক ল্যাব। কেমিস্ট ছাড়াই ওই সব খাদ্যপণ্যে ইচ্ছামতো মেশানো হয় রাসায়নিক রং।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক মোঃ আসলাম বলেন, কারখানায় যখন এই পণ্যগুলো তৈরি হয় তখন কালো ধূয়া এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে যায় অনেকের বাড়ি ঘর, জামা কাপড়, খাবার প্লেট, অন্যান্য আসবাবপত্রে ময়লা গিয়ে জমাট বাদে। নিম্নমানের ভেজাল এসব পণ্য খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই এসব পণ্য তৈরির কারখানা বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে ডাঃ মশিউর রহমান জানান, ভেজাল খাদ্যের কারণে শিশুদের পেটের পিড়া পিছু ছাড়ছে না। স্বাস্থ্যহানীর শিকার হচ্ছে অধিকাংশ শিশু। অচিরেই ভেজাল শিশু-খাদ্য উৎপাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
এ বিষয়ে মদিনা ড্রাই ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড এর মালিক ইমাম এর সাথে কথাহলে জানান আমি গণমাধ্যম সহ সকল প্রশাসনকে মাশোহারা দিয়ে এই ব্যবসা পরিচালনা করছি আমার পণ্য ভালো-মন্দ তারাই দেখবে তাদের সাথে কথা বলেন। অনুসন্ধান চলছে জানতে পারবেন আগামী পর্বে।