“আব্দুস সবুরকে দেন এবং তিন দিন পর চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপনের অনুরোধ জানান। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক পরের দিনই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চেকটি উপস্থাপন করেন। ফলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। এতে তিনি আরও ক্ষেপে গিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমানকে অফিশিয়ালি একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন।
জবাব না দেয়ায় লোক মারফত দ্বিতীয় দফায় আবারও আনিছুর রহমানকে ডেকে লিগ্যাল নোটিশ মোতাবেক টাকা জমা দেয়ার হুমকি দেন আব্দুস সবুর। টাকা জমা না দেয়ায় চার মাস আগে আনিছুরের এলপিসি বন্ধ করে দেন উপ-পরিচালক আব্দুস সবুর। ফলে গত চারমাস ধরে পরিবার নিয়ে আর্থিক সংকটে রয়েছেন বলে জবাবে উল্লেখ করেন আনিছুর রহমান।
শুধু তাই নয়, প্রকল্প পরিচালক ২০১৮ সালে যোগদানের পর থেকে চলতি ৫ বছরে তার (আব্দুস সবুর) অনুগত লোকদের নিয়ে গাইবান্ধায় একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। এছাড়া তিনি শুধু প্রকল্পের টাকাই নয়ছয় করেননি, তিনি রাজস্ব খাতের লক্ষাধিক টাকাও তিনি হজম করেছেন বলে জবাবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া আব্দস সবুর ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর সদর দপ্তরের জিপ গাড়ি মেরামত বাবদ পাওয়া ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জনতা ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার একটি গোপনীয় হিসাব নম্বরে জমা করেন। কিন্তু পরে গাড়ি মেরামত না করেই সমুদয় টাকা হস্তগত করেন তিনি। এ ঘটনা বিআরডাবির ২০২২ সালের জুনে হওয়া অডিট দলের কাছে গোপন করা হয়েছে বলেও জবাবে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে গাইবান্ধা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক ও ‘গাইবান্ধা সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প’র পরিচালক মো. আব্দুস সবুরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উকিল নোটিশ আমরা করেছি, জবাব আমাদেরকেই দিতে হবে। ওখানে (মহাপরিচালকের দপ্তরে) দিয়ে তো লাভ নেই। ওখানে দিয়ে থাকলে সেটা তার ব্যাপার।’
সেখানে তো (জবাবে) আপনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন- এমন প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সেটাতো করবেই এখন। বিভিন্ন বিষয় ধরা পড়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
এ ব্যাপারে বিআরডিবির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আ. গাফফার খান মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিআরডিবি অনেক বড় দপ্তর। গাইবান্ধার আনিছুর রহমানের একটি পত্র সম্ভবত এসেছে। আমরা তার অভিযোগের বিষয়গুলো অবশ্যই খতিয়ে দেখব। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এটি শেষ হলে পরে আমরা তার ব্যাপারটিও দেখব।’