
গাছা মেট্রো থানা: যুবক হত্যা মামলার আসামিরা অধরা, ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত বাদী
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা মেট্রো থানায় যুবক গাজী মাহদী হাসানকে (২৮) গলায় রশি পেঁচিয়ে মেরে ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। ‘হত্যার’ ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও প্রধান আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। নিহতের বাবা মো. আরব আলীর দায়ের করা এজাহারে নাম থাকা মূল অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায়, বাদী পরিবার চরম উদ্বেগ ও হতাশার মধ্যে রয়েছে।
গত ০৮/১০/২০২৫ তারিখে নিহতের বাবা মো. আরব আলী থানায় এজাহার দায়ের করেন, যেখানে নিহতের স্ত্রী নূর নাহার আক্তার নাদিয়া, শ্বাশুড়ি মোসাঃ পারভীন আক্তার-সহ মোট আটজন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে গত ২০/০৯/২০২৫ ইং তারিখে যুবকটিকে হত্যা করে তার লাশ ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
নিহতের বাবা মো. আরব আলী জানান, এজাহারে নাম থাকা ১ নং আসামি বতর্মান স্ত্রী এবং ২ নং আসামি শ্বাশুড়ি প্রধান সন্দেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাদের আটক করতে পারছে না। তিনি বলেন, “আমার একমাত্র ছেলেকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো, অথচ এক মাস পরেও খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে আমরা ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত।”
তিনি আরও বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তদন্ত কার্যক্রমে কোনো প্রকার প্রভাব খাটাচ্ছে কি না, সেই সন্দেহও তার মনে দানা বাঁধছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাছা মেট্রো থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মামলাটির তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।