বিশেষ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যূৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানকে নিয়ে কৌতূহলী ময়মনসিংহ সিটিবাসী। তারা নানান ধরনের মুখরোচক কথা।
ময়মনসিংহ সিটি বাসী বলে বেড়াচ্ছেন জিল্লুর রহমানকে কিছু বলে আর লাভ কি যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দাম্ভিকতার সাথে বলেন তার অফিসের পিওনও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া সে চলাফেরা করেনা সিটি বাসী হাস্যকৌতূকে বলেন তা হলে আর নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানকে দোষ দিয়ে লাভ কি! তাকে আর আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে লাভ কি?
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যূৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের শাসনামলে পুরো ১৫ বছরেরও অধিক সময় ময়মনসিংহে দাপটের সাথে সিটি কর্পোরেশনে প্রকৌশলীর চাকরি করতে করতে মনের অজান্তেই হয়ে গেলেন নির্বাহী প্রকৌশলী!
জানা গেছে, কিছুক্ষন পর পরই যেন ঝলসে উঠতেন জিল্লুর রহমান। তার চারপাশে জমজমাট হয়ে মৌজমস্তি করতো আওয়ামী লীগের দাপুটেরা আর ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের চাকুরেরা!
গুরুতর অভিযোগে জানা গেছে, এ সময় অবিশ্বাস্য ভাবে অসংখ্য ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরী করে স্বাক্ষর করে দিতেন জিল্লুর রহমান আর হাতিয়ে নিতেন লক্ষ লক্ষ টাকা!
অন্যদিকে ময়মনসিংহের রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে লাইট পোস্টের উপর সুদৃশ্য নৌকা বানিয়ে বিভিন্ন রঙিন লাইট লাগিয়ে আলোকসজ্জার নহর বানিয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ এই নৌকা আর নৌকার চারপাশে আলোকসজ্জা করতে গিয়ে বাজেট তৈরী করেছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে এখানেই জিল্লুর রহমান হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকার মতো!
কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের আগে আগেই আঁচ করতে পেরে জিল্লুর রহমান আগের রাতেই বিএনপি সেজে সব নৌকা নিজেই ভেঙ্গে ফেলেছেন!
এ জন্যেই প্রবাদে আছে জিন্দেগী ক্যা কাল দরিয়া ম্যা ঢাল……
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকাকালীন সময় প্রায় পুরোটা মাসই জিল্লুর রহমান আওয়ামিলীগের নামে কোন না কোন অনিয়ম দূর্ণীতি করেই গেছেন কিন্তু সে সময় গুলোতে সবাই তালিয়া বাজিয়েছেন। কেউ কিছু বলেনি!
সিটি বাসী এখন ময়মনসিংহ দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের প্রতি জিল্লুর রহমানকে অনুসন্ধান করে খুঁজে বের করে আইনের হাতে তুলে দেয়ার সর্ণিবন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন।