প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৬:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১৬, ২০২৪, ৫:৩৩ পি.এম
শ্যামনগরে ১৩ বছরের শিশুকে মারপিট ও ভিডিও ধারণ
মোঃ হাফিজ বিশেষ প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরায় শ্যামনগরে আবু ইছা নামে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে দড়ি দিয়ে ব্রিজের পিলারের সাথে বেঁেধ শাররীক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল্লাহ ও মিয়ারাজ নামে স্থানীয় দুই বখাটে চোর সন্দেহে আটকের পর শিশুটির সাথে এমন অমানবিক কান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। এসময় নির্যাতনকারী দুই তরুনের একজন তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে এবং অপরজন সে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে।
আব্দুল্লাহ (২৫)ও মিয়ারাজ(২১)যথাক্রমে বড়ভেটখালী গ্রামের আলমগীর হোসেন ও চুনকুড়ি গ্রামের মৃত মুকুল গাজীর ছেলে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ছোট ভেটখালী ব্রিজের উপর ঘটনাটি ঘটে। শিশু আবু ইছা চুনকুড়ি গ্রামের ইউনুুস আলী মোড়লের ছেলে। সে পাশর্^বর্তী জহিরনগর এবতেদায়ী মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভুক্তোভোগী শিশুর চাচাত ভাই নাজমুল হোসেন জানান শুক্রবার দুপুরের দিকে আবু ইছার পালিত বকটি হারিয়ে যায়। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মত সে বক খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে ব্রিজের উপর আবু ইছাকে একাকী পেয়ে কোন কারন ছাড়াই আব্দুল্লাহ ও মিয়াারাজ তার সাথে এমন আচারণ করে। নানান শাররীক জটিলতায় ভুগতে থাকা আবু ইছা কয়েক বছর ধরে রিমোটিকা রোগে আক্রান্ত বলেও জানান তিনি। আবু ইছার পিতা ইউনুস মোড়ল বলেন ঘটনার পর থেকে তার ছেলে ভয়ার্ত আচারণ করছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে লঠির আঘাতের মোটা দাগ পড়ে গেছে। তারা ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন। আব্দুল্লাহ ও মিয়ারাজ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে ইতিপুর্বে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ বলেন, আমার চাচার ঘেরের বাসা থেকে ইতিপুর্বে অনেকগুলো বাল্ব চুরি হয়েছে। বক খোঁজার অজুহাতে নেটের ঘেরা ভেঙে ইছা ও তার এক বন্ধু ভিতরে প্রবেশ করায় ভয় দেখানোর জন্য জালের দড়ি দিয়ে দুষ্টামি করে বেঁধে দুইটা থাপ্পড় দেয়া হয়। ভয় রাখার জন্য তার ভিডিও ধারণের কথাও তিনি স্বীকার করেন।
উপদেষ্টাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা সম্পাদকঃ মনির হোসেন চৌধুরী সম্পাদকীয় কার্য্যালয়ঃ রোড নং- #১০/এ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। মোবাইল: ০১৭৮২ ৬৯৮৬২৩ মেইল: dhakarcrimenews@gmail.com, web: www.dailydhakarcrime.com
© All rights reserved © 2024 ঢাকার ক্রাইম