সারা পৃথিবী জুড়ে সম্মানীয় হলেও ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে নিজ দেশে বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের জুলুম নির্যাতন ও অপমানের গ্লানি সইতে হয়েছে যা বাঙালি জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে অনেকেই মনে করেন। পৃথিবী বরেণ্য ডক্টর ইউনুস বর্তমানে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জামায়েত ইসলামকে নিষিদ্ধ ছাত্র জনতা কে বিভিন্ন মামলায় গণহারে গ্রেফতার করা হয় পরে জামিন না দেয়ার জন্য সারা দেশের সকল আদালতকে শেখ হাসিনা সরকারের হয়ে সকল ধরনের নির্দেশনা দেন আইন সচিব গোলাম সরোয়ার।
আইন সচিব সরোয়ারের নির্লজ্জ আওয়ামী গোলামীর ও বিরোধীদের আইনের জালে ফেলার নীল নকশায় নাজেহাল হয়েছেন পৃথিবীর বরেণ্য ব্যক্তিত্ব নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডঃ মোঃ ইউনুস সহ দেশের রাজনৈতিক মহল ও ছাত্র জনতা। জানাযায় মেরিনা সুলতানা লেবার কোটের জর্জ সে চেয়েছিলো জরিমানা করতে, কিন্তু আইন সচিব ৬ মাসের আদেশ দিতে বলে। এর পর জামিন দেযার কারনে মেরিনাকে ঝিনাইদহ বদলি করে। তিনি নারী ও শিশু আদালতে আছেন।
সম্প্রতি দেশের ছাত্র জনতার আন্দোলন যে উত্থান হয়েছে সেই আন্দোলনের প্রথম ভাগে ছাত্র জনতা সহ রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সকলকে ছাত্রশিবির ত্যাগ লাগিয়ে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর সকল ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছেন এই আইন সচিব।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সঙ্গে নিয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রনালয়ে মহা-দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তোলা সচিব গোলাম সারওয়ার এখনো বহাল। মন্ত্রনালয়সহ মাঠ পর্যায়ে বিস্তৃত সচিবের সাঙ্গপাঙ্গরাও এখনো রয়েছেন দাপটের সঙ্গেই।
বিচারের নামে ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে বছরের পর বছর হয়রানি করা, তড়িঘড়ি লিখিত নোট দিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনে গুলি বন্ধের রীটকে ধমক দিয়ে খারিজ করানোর মূল হোতা হচ্ছেন এই সচিব গোলাম সারওয়ার।
জামাতকে নিষিদ্ধ করতে হাফিজ আহাম্মেদ চৌধুরী অতি: সচিব ডাপ্ট করে থাকেন । ওম্মে কুলসুম যুগ্ন সচিব, সচিব ও মন্ত্রী মিলে ডাপ্ট করে সেই ডাপ্ট সচিব নিজে হাতে হাতে গিয়ে দিয়ে আসেন স্বরাস্টমন্ত্রীর কাছে ।
ব্রাম্মনাড়ীয়ার কসবা থানার বাসিন্দা গোলাম সারওয়ার আত্মীয়তার সম্পর্কে মন্ত্রী আনিসুল হকের বেয়াই। আইন সচিবের চাচাতো ভাই বিয়ে করেছে মন্ত্রীর ফুফাতো বোনকে। সেই হিসেবে পারিবারিকভাবে আত্মীয়তার যেমন বন্ধন রয়েছে তাদের, তেমনি মন্ত্রনালয়েও দুই বেয়াই মিলেমিশে গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতির মহাসিন্ডিকেট। সাথে যুক্ত ছিল আইনমন্ত্রীর গোপন প্রেমিকা তৌফিকা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর অধস্তন আদালতে যতো নিয়োগ হয়েছে তার অধিকাংশেই খাতা পরিবর্তন, জালিয়াতি, পরীক্ষা না দিয়েও চাকুরী হওয়ার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুস বানিজ্য সহ পাহাড়সম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সরাসরি আইনমন্ত্রী আনিছুল হকের নির্দেশে সাবেক সচিব (মৃত) জহুরুল হক দুলাল ও বর্তমান সচিব গোলাম সারোয়ারের তত্ত্বাবধানে।
মন্ত্রী আনিসুল তার ক্ষমতা খাটিয়ে ব্রাহ্মবাড়িয়ার সন্তান তার চরম অনুগত গোলাম সারোয়ারকে সচিব পদে বসিয়েছেন আইনবহির্ভুতভাবে, অতঃপর নির্বিঘ্নে চালিয়েছেন দুর্নীতির রামরাজত্ব। গোলাম সারোয়ারও সততার ভাণ ধরে আইজিআর অফিসসহ বিভিন্ন অধস্তন দপ্তরে আর্থিক বড় লেনদেনের খাতগুলো থেকে নিয়মিত বিপুল অংকের টাকার ভাগ পান। মুখোশের আড়ালে নিয়মিত বিপুল অংকের মাসোহারা নেন।
আনিসুল ও গোলাম সারওয়ার সিন্ডিকেট প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধস্তন আদালতের নিয়োগ কমিটিকে বাধ্য করে সারাদেশে চতূর্থ শ্রেনীর পদে প্রায় দুই হাজারের মতো কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন কেবলমাত্র নিজেদের কসবা উপজেলা থেকে। অথচ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট ও সরকারী চাকুরী সংক্রান্ত নিয়োগ বিধিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, চতূর্থ শ্রেনীর চাকুরীতে নিয়োগে প্রাধান্য পাবে স্থানীয় জেলার আবেদনকারীরা। অথচ আইনমন্ত্রী ও তার অনুগত আইন সচিব এই বিধান লংঘন করে বিভিন্ন জেলায় বিপুল সংখ্যক নিয়োগ দেন। অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করে বহু বিচারককে অপরাধকর্মে জড়াতেও বাধ্য করেছে খোদ আইনমন্ত্রী ও সচিব।
উপদেষ্টাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বার্তা সম্পাদকঃ মনির হোসেন চৌধুরী সম্পাদকীয় কার্য্যালয়ঃ রোড নং- #১০/এ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০। মোবাইল: ০১৭৮২ ৬৯৮৬২৩ মেইল: dhakarcrimenews@gmail.com, web: www.dailydhakarcrime.com